অল্প বয়সে ব্রণের সমস্যা 2025: প্রাকৃতিক উপাদানে সুরক্ষার সহজ পথ এখন হাতের মুঠোয়!

Updated On:
অল্প বয়সে ব্রণের সমস্যা By Rupcharcha

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

অল্প বয়সে ব্রণ হওয়া কি স্বাভাবিক?

অল্প বয়সীদের মধ্যে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যাওয়ার প্রধান কারণ হলো হরমোনের পরিবর্তন, বিশেষ করে বয়সন্ধি কালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। এই হরমোন সেবাসিয়াস গ্রন্থ গুলিকে (তৈল গ্রন্থি) অতিরিক্ত সক্রিয় করে তোলে, যার ফলে ত্বকে অতিরিক্ত সেবাম (তৈল পদার্থ) উৎপন্ন হয়। এই অতিরিক্ত সেবাম মৃত ত্বকের কোষ এবং ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিশে লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যা ব্রণ সৃষ্টির কারণ।

এ ছাড়া বংশগত কারণ,মানসিক চাপ, খাদ্যাভাস, অপরিষ্কার ত্বক, অযথা মুখে হাত দেওয়া এবং বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্টের অতিরিক্ত ব্যবহার ও ব্রণের সমস্যাকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি শিশুর আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলতে পারে।

অল্প বয়সে ব্রণের কারণ

  • হরমোনাল পরিবর্তন: প্রি-টিন এবং টিন এজের শুরুতে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বৃদ্ধি পেলে ত্বকের তেল গ্রন্থি থেকে তেল বেশি নিঃসৃত হয়।
  • পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার অভাব: প্রতিদিন স্কুল, খেলার মাঠ বা বাইরে থেকে আসার পরে ত্বক পরিষ্কার না করলে ময়লা জমে পোরস বন্ধ হয়ে যায়।
  • অস্বাস্থ্যকর খাবার: ফাস্টফুড, অতিরিক্ত মিষ্টি, চকলেট বেশি খাওয়া ব্রণ বাড়িয়ে তোলে।
  • জেনেটিক ফ্যাক্টর: পরিবারের কারো ব্রণ থাকলে শিশুরও হতে পারে।
  • স্ট্রেস ও ঘুমের অভাব: স্কুলের পড়াশোনার চাপ ও পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
  • ভুল প্রসাধনী: বড়দের স্কিন প্রোডাক্ট শিশুর ত্বকে ব্যবহার করলে ব্রণ ও র‍্যাশ হতে পারে।

ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বা প্রাকৃতিক উপাদান কি?

ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বলতে বোঝায় যে গুলি মূলত প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত উপাদান, যেমন উদ্ভিদ নির্যাস, ফল, সবজি, মধু, দুধ, ভেষজ ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এ গুলিতে সাধারণত সিন্থেটিক কেমিক্যাল, প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফ্রেগারেন্স বা রং ব্যবহার করা হয় না বা খুব কম পরিমাণে ব্যবহার করা হয়।

কেমিক্যাল প্রোডাক্ট এর থেকে ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট অনেক বেশি উপকারী কেন?

অল্প বয়সীদের ত্বকের যত্নের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী হতে পারে,কারণ এই সময়ের ত্বক সাধারণত সংবেদনশীল থাকে এবং রাসায়নিক প্রোডাক্টের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। কিন্তু ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা রয়েছে :

  • কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: প্রাকৃতিক উপাদান সাধারণত ত্বকের জন্য মৃদু হয় এবং এলার্জি বা জ্বালা হওয়া ঝুঁকি কম থাকে, বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল।
  • পরিবেশ বান্ধব: কৃত্রিম উপাদান ব্যবহারের থেকে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার পরিবেশের জন্য ভালো।
  • দীর্ঘস্থায়ী উপকারিতা: প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের গভীরে কাজ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতা প্রদান করে।

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের সমস্যার সমাধান:

মধু ও দারুচিনি

মধু ও দারুচিনিতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, যা ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট, তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণ কমে যাবে।

টি ট্রি ওয়েল ( Tea Tree Oil)

এটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণ সম্পন্ন। এক ফোটা টি ট্রি ওয়েল কয়েক ফোটা নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে সরাসরি ব্রনের উপরে লাগাতে পারেন।

নিমপাতার পেস্ট

নিমে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান, যা ত্বকে জমে থাকা জীবাণু ধ্বংস করে এবং ব্রণ কমায়। এটি সরাসরি ব্রণের উপরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফল মিলবে।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং নিরাময়ের সাহায্য করে। তাজা অ্যালোভেরা জেল ব্রোনের উপরে লাগান।

লেবুর রস

লেবুর রসে প্রাকৃতিক অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে, যা ব্রণের জীবাণু দূর করে এবং ত্বক পরিষ্কার করে। এটি সরাসরি ব্রণের উপর লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কিছু সাধারণ পরামর্শ

  • পর্যাপ্ত জল পান: শরীরকে ভিতর থেকে হাইড্রেট রাখে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
  • নিয়মিত পরিষ্কার: সকাল ও রাত্রে অত্যন্ত দুবার হালকা প্রাকৃতিক ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার: ফল, সবজি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। অতিরিক্ত চকলেট, কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস ,ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
  • সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা: বাইরে বেরোনোর সময় টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করাটা খুবই উপকারী।
  • ধৈর্য : প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করতে কিছুটা সময় লাগে, তাই ধৈর্য হারাবেন না।
  • ব্রণ খুঁটতে না দেওয়া : ব্রণ খুঁটালে দাগ এবং ইনফেকশন হতে পারে, তাই অভ্যাস তৈরি করুন করবেন না।

নোট: যে কোনো ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহারের আগে শিশুর ত্বকে সামান্য অংশে পরীক্ষা করে নিন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

  • ব্রণ ফোঁড়ার মতো বড় হলে এবং ব্যথা করলে।
  • ব্রণের কারণে রক্ত বের হলে বা পুঁজ জমলে।
  • ত্বকে দাগ এবং ইনফেকশন দেখা দিলে।
  • হরমোনাল সমস্যার কারণে ব্রণ বেড়ে গেলে।
  • এ ক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে মেডিকেটেড ক্রিম বা ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে।

FAQ

প্রশ্ন: ব্রণ দূর হতে কতদিন সময় লাগে?

উত্তর: নিয়মিত যত্ন নিলে ২-৪ সপ্তাহে ব্রণ কমে যায়।

প্রশ্ন: অল্প বয়সীদের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো?

উত্তর: সালফেট, প্যারাফিন ও অ্যালকোহল ফ্রি বেবি ফ্রেন্ডলি ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।

প্রশ্ন: ব্রণ হলে কী খাওয়া উচিত?

উত্তর: জল, ফল, শাকসবজি, বাদাম, দই, এবং কম তেল যুক্ত খাবার খাওয়ান।

বিঃদ্রঃ– উপরের তথ্য গুলো (Natural Skin Care Advice – অল্প বয়সে ব্রণের সমস্যা) কেবলমাত্র ত্বক কে ভালো রাখার উদ্দেশ্য। rupcharcha.in শুধুমাত্র বিভিন্ন ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার এর খবর ইত্যাদি বিষয়ে আপডেট দেওয়ার জন্যই তৈরি করা। এটা কোন সংস্থা নয় এবং পরিচালনা করে না। এটা সমগ্র ইন্টারনেট জুড়ে খবর সংগ্রহ করে প্রকাশিত করে। rupcharcha.in সর্বদা চেষ্টা করে নির্ভুল আপডেট প্রকাশ করার তবুও আমাদের অবচেতন মনে যদি কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে ভুলের জন্য আমরা দায়ী নই।

পাঠকদের অনুরোধ করা হচ্ছে আপনারা অতি অবশ্যই নোটিফিকেশন নিজে থেকে ভালো করে যাচাই করবেন, দেখবেন, বুঝবেন তবেই নিজের দায়িত্ব করবেন।

বিঃদ্রঃ: এই আর্টিকেলের (Natural Skin Care Advice – Acne problems at a young age) প্রোডাক্ট লিঙ্ক গুলি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক হতে পারে। আপনার প্রয়োজনে প্রোডাক্ট নির্বাচনে সতর্ক হোন।


Rupcharcha Medium WebsiteClick Here
Rupcharcha Twitter PageClick Here
Rupcharcha Facebook PageClick Here
Rupcharcha LiveJournal PageClick Here
Rupcharcha Quora PageClick Here
Rupcharcha Pinterest PageClick Here
Rupcharcha Reddit PageClick Here

Follow Us On

Leave a Comment