7 টি প্রাকৃতিক তেল যা আপনার ত্বককে দেবে নতুন প্রাণ, নারকেল তেলের ছাড়াও Free Tips

Published On:
7 টি প্রাকৃতিক তেল যা আপনার ত্বককে দেবে নতুন প্রাণ

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

হারিয়ে যাওয়া শিকড়ে ফিরছে মানুষ। প্রকৃতির কোলে লুকানো প্রাকৃতিক তেল নারকেল, শিয়া বাটার আর জলপাই তেল যেন নতুন আলোয় আসা । কেমিকেল নয়, এবার হৃদয় চায় খাঁটি ভালোবাসা ত্বকের প্রতি। নারকেল তেল, শিয়া বাটার ও জলপাই তেল এ সব প্রাকৃতিক তেল যুগে যুগে ব্যবহৃত হয়েছে ত্বক ও চুলের যত্নে। আধুনিক যুগে যখন কেমিকেল সমৃদ্ধ প্রোডাক্টের প্রভাব বেড়েছে, তখন এই উপকারী তেল গুলো এক প্রকার ভুলেই যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন সবাই আবার খাঁটি ও কম খরচে প্রোডাক্ট চাইছে, তাই এই তেল গুলো আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

এই প্রাকৃতিক তেল গুলোর ভিন্নতা, উপযুক্ত ব্যবহার কারী এবং সঠিক প্রয়োগ পদ্ধতি জানলে আপনি ত্বকে এনে দিতে পারেন উজ্জ্বলতা আর কোমলতা।

নিরাপদ নাকি সমস্যা সৃষ্টি করে? – প্রাকৃতিক তেল নিয়ে বিভ্রান্তি

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমন বলেন, নারকেল, জলপাই ও সূর্যমুখী তেল অতীতেও প্রমাণ করেছে যে এরা অন্যান্য অনেক উপাদানের তুলনায় কম অ্যালার্জেনিক ও ভালো। তিনি ব্যাখ্যা করেন, আজকের মানুষরা এমন কিছু চায় যা ত্বকে আরামদায়ক, রাসায়নিক উপাদানে হালকা এবং সহজলভ্য হয়। এ কারণে প্রাকৃতিক এই তেল গুলোর গুরুত্ব আবার সামনে আসছে।

তবে সাবধানতার পরামর্শও দেন তিনি যেমন ব্রণ যুক্ত মুখে না লাগিয়ে, শরীরের জন্য তেল ব্যবহার শুরু করুন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী। শুষ্ক, তৈলাক্ত, সংবেদনশীল বা সংমিশ্রণ সব কিছুর ওপরই নির্ভর করে কী তেল আপনার জন্য কার্যকর হবে।

সূর্যের আলো আর প্রাকৃতিক তেল: বন্ধু না শত্রু?

সূর্যের তাপে তেল ত্বকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ডা. সুমনের পরামর্শ অনুযায়ী, তেল ব্যবহার করার আদর্শ সময় হলো সকাল বেলা, তাও হালকা পরিমাণে। রাতের বেলা তেল ব্যবহার তুলনা মূলক ভাবে নিরাপদ। তবে দিনের বেলায় যদি বাইরে যেতে হয়, তাহলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। আর যদি দেখা যায় ত্বক তেল শোষণ করছে না, তাহলে বুঝতে হবে পরিমাণটা বেশি হয়ে গেছে।

মুখ ও শরীরে তেল ব্যবহারে পার্থক্য রাখুন

ত্বকের সব অংশের প্রয়োজন এক নয়। মুখে যদি ব্রণ থাকে, তাহলে তেল লাগানো ঝুঁকি পূর্ণ হতে পারে, কারণ এতে ছিদ্র বন্ধ হয়ে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে শরীরের অন্যান্য অংশে বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকে নারকেল তেল বা শিয়া বাটার ভালো ফল দেয়। তবে পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকুন। শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝে ব্যবহার করলেই সবচেয়ে নিরাপদ।

রান্নার তেল ≠ ত্বকের তেল

রান্নার জন্য ব্যবহৃত নারকেল তেল প্রায়শই উচ্চ তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত হওয়ায় এতে থাকা পুষ্টিকর ও উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। মুখের মতো সংবেদনশীল স্থানে এ ধরনের তেল ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ডা. সুমন তাই ত্বকের জন্য কোল্ড প্রেসড, অর্গানিক ও অপরিশোধিত নারকেল তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন, যা প্রাকৃতিক ভাবে পুষ্টি গুণ ধরে রাখে।

অপরিহার্য তেল কি, এবং তারা কি কাজ করে

এসেনশিয়াল অয়েল যেমন চা গাছ, লেবু ও আরগান তেল প্রাকৃতিক ও কার্যকর হলেও, এ গুলো যথাযথ ভাবে ব্যবহার না করলে ত্বকে জ্বালা পোড়া, অ্যালার্জি কিংবা চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে। ডা. সুমন স্পষ্ট করে বলেন, একজিমা আক্রান্ত খোলা ত্বকে কখনোই চা গাছের তেল প্রয়োগ করা উচিত নয়। গর্ভবতী নারীদের জন্য এসব তেলের প্রতিক্রিয়া আরও জটিল হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ব্যবহার করা ঠিক নয়।

এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারে ক্যারিয়ার অয়েল যেমন নারকেল বা জোজোবা তেল মিশিয়ে প্রয়োগ করা জরুরি। খাঁটি তেল সরাসরি প্রয়োগে অ্যালার্জির ঝুঁকি থেকে যায়।

ত্বকের যত্নে শুরুর পথ: ৭টি প্রাকৃতিক রত্ন

নারকেল তেল

এই উপাদানটিতে রয়েছে ত্বকের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ ভিটামিন ই ও কে, পাশা পাশি অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ যা ত্বকের নানা সমস্যা মোকাবেলায় কার্যকর। তবে মুখে ব্রণ থাকলে এটি ব্যবহার করলে রোমছিদ্র বন্ধ হয়ে সমস্যা বাড়তে পারে, তাই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জলপাই তেল

এই তেল ভিটামিন ই সহ বিভিন্ন পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ এবং এর ঘনত্বের কারণে ত্বকে ভালো ভাবে শোষিত হয়। তাই শরীরের যত্নে এটি খুবই কার্যকর। তবে সর্বোচ্চ মানের জন্য অতিরিক্ত ভার্জিন জাতই বেছে নেওয়া উচিত, কারণ এতে কোনো প্রক্রিয়া জাতকরণ হয় না এবং সব পুষ্টি গুণ অক্ষত থাকে।

সূর্যমুখী বীজের তেল

এই তেল খুব সহজে ত্বকে মিশে যায়, যার ফলে ত্বক করে তোলে মসৃণ ও আর্দ্র। এমন কি শিশুদের কোমল ত্বকেও এটি নিরাপদে ব্যবহার করা যায়। জলপাই তেলের তুলনায় এটি আরও বেশি কোমল ও আরামদায়ক।

শিয়া বাটার

শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেই এটি গলে যায় এবং জলপাই বা নারকেল তেলের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যায়। এর অ্যালার্জির ঝুঁকি খুবই কম হওয়ায়, এটি ত্বকে ব্যবহার করতে নিরাপদ।

জোজোবা তেল

প্রাচীন উপজাতীয় চিকিৎসায় এটি ছিল এক গুরুত্ব পূর্ণ উপাদান, যা কম অ্যালার্জেনিক হওয়ার কারণে ত্বকেও নিরাপদ এবং তার হালকা ও প্রদাহ বিরোধী গুণ গুলি স্বাস্থ্য উপকারে আসে।

বাদাম তেল

এই উপাদানটি হালকা গঠন ও পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ, যা মুখে ব্যবহার করার জন্য আদর্শ। তবে, সংবেদনশীল ত্বকে এটি ব্যবহারের পূর্বে একটু সতর্ক হওয়া দরকার, কারণ কিছু ত্বক এটি ভালো ভাবে শোষণ নাও করতে পারে।

আঙ্গুর বীজের তেল

এই উপাদানটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং টানটান করে। এর গঠন খুবই হালকা, ফলে ত্বক দ্রুত শোষণ করে এবং অ্যালার্জির ঝুঁকি অত্যন্ত কম।


বিঃদ্রঃ– উপরের তথ্যগুলো (7 টি প্রাকৃতিক তেল যা আপনার ত্বককে দেবে নতুন প্রাণ, নারকেল তেলের ছাড়াও Free Tips) কেবলমাত্র ত্বক কে ভালো রাখার উদ্দেশ্য। rupcharcha.in শুধুমাত্র বিভিন্ন ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার এর খবর ইত্যাদি বিষয়ে আপডেট দেওয়ার জন্যই তৈরি করা। এটা কোন সংস্থা নয় এবং পরিচালনা করে না। এটা সমগ্র ইন্টারনেট জুড়ে খবর সংগ্রহ করে প্রকাশিত করে। rupcharcha.in সর্বদা চেষ্টা করে নির্ভুল আপডেট প্রকাশ করার তবুও আমাদের অবচেতন মনে যদি কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে ভুলের জন্য আমরা দায়ী নই।

পাঠকদের অনুরোধ করা হচ্ছে আপনারা অতি অবশ্যই নোটিফিকেশন নিজে থেকে ভালো করে যাচাই করবেন, দেখবেন, বুঝবেন তবেই নিজের দায়িত্ব করবেন।

বিঃদ্রঃ: এই আর্টিকেলের (3 Free Ways to take care of Oily Skin in 2025) প্রোডাক্ট লিঙ্ক গুলি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক হতে পারে। আপনার প্রয়োজনে প্রোডাক্ট নির্বাচনে সতর্ক হোন।


Rupcharcha Medium WebsiteClick Here
Rupcharcha Twitter PageClick Here
Rupcharcha Facebook PageClick Here
Rupcharcha LiveJournal PageClick Here
Rupcharcha Quora PageClick Here
Rupcharcha Pinterest PageClick Here
Rupcharcha Reddit PageClick Here

Follow Us On

Leave a Comment