আমাদের দেশের জলবায়ুর কারণে গরম ও বর্ষাকালে ত্বকে তেল তেলে ভাব বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত তেল রোমকূপ বন্ধ করে পিম্পলের জন্ম দেয়। তবে ঘরেই থাকা প্রাকৃতিক উপাদান যেমন বেসন, লেবু, মুলতানি মাটি ইত্যাদি ব্যবহার করে এই সমস্যা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ঘরেই কিছু উপায় আছে যেগুলো সহজেই কাজে লাগাতে পারো।
- 1 তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যার কারণ
- 2 কেন তৈলাক্ত ত্বকে বেশি পিম্পল হয়
- 3 তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ঘরোয়া সমাধানের গুরুত্ব
- 4 ঘরোয়া প্যাক ব্যবহারের সুবিধা
- 5 তৈলাক্ত ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ
- 6 ১ম প্যাক : তুলসী ও নিম প্যাক
- 7 ২য় প্যাক : মুলতানি মাটি ও হলুদ প্যাক
- 8 তৈলাক্ত ত্বকের প্রতিদিনের যত্নের উপায়
- 9 পিম্পল কমানোর ঘরোয়া টিপস
- 10 সতর্কতা এবং পরামর্শ
- 11 উপসংহার
- 12 FAQs
- 13 গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলি (Important Links)
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যার কারণ
- অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদন
- হরমোনের তারতম্য
- দূষণ
- অতিরিক্ত স্ট্রেস
- ভুল লাইফস্টাইল
কেন তৈলাক্ত ত্বকে বেশি পিম্পল হয়
তৈলাক্ত ত্বক অতিরিক্ত সেবাম তৈরি করলে, সেই তেল ধুলো বালি এবং মৃত কোষের সাথে মিশে ত্বকের লোম কূপে আটকে যায়। এই বন্ধ লোম কূপে ব্যাকটেরিয়া জমে, যার ফলে ত্বকে পিম্পল বা ব্রণ দেখা দেয়।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ঘরোয়া সমাধানের গুরুত্ব
বাজারে পাওয়া কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট গুলি ত্বকের ওপর সাময়িক উপকারিতা দেখালেও, দীর্ঘমেয়াদে তা ত্বকের পিগমেন্টেশন, একজিমা, বা অন্যান্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তবে, ঘরোয়া উপকরণ যেমন মধু, দুধ, বেসন ইত্যাদি ব্যবহারে ত্বক নিরাপদ থাকে এবং তা সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত।
ঘরোয়া প্যাক ব্যবহারের সুবিধা
- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
- সস্তা ও সহজলভ্য
- ত্বকের গভীরে কাজ করে
- দীর্ঘস্থায়ী উপকার
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ
তুলসী পাতার গুণা গুণ
তুলসী একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা ত্বকের পিম্পলের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ত্বককে পরিষ্কার ও সুরক্ষিত রাখে।
নিম পাতার কার্যকারিতা
নিমে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ত্বকের দাগ ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, পাশা পাশি ত্বকের স্বাভাবিক জ্বালা ও প্রদাহও উপশম করে।
মুলতানি মাটির উপকারিতা
এটি ত্বককে শীতল রেখে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়, ফলে ত্বকের তেল তেলে ভাব কমে এবং ত্বক সুস্থ থাকে।
হলুদের ব্যাকটেরিয়া নাশক গুণ
হলুদের অ্যান্টিসেপটিক উপাদান পিম্পলের মূল ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে, যার ফলে ত্বকে প্রদাহ কমে ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
মধুর ময়েশ্চারাইজিং ক্ষমতা
ত্বকের উপর কাজ করে এটি কোষ গুলোকে নরম করে তোলে এবং জীবাণু ধ্বংস করে, ফলে ত্বক হয় কোমল ও সুরক্ষিত।
১ম প্যাক : তুলসী ও নিম প্যাক
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- ১০-১২ টি তুলসী পাতা
- ১০-১২ টি নিম পাতা
- সামান্য জল
প্রস্তুত প্রণালী
দুই ধরনের সতেজ পাতা ভালো ভাবে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে বেটে নিন, যতক্ষণ না মসৃণ পেস্ট তৈরি হয়।
ব্যবহার পদ্ধতি
মুখের ধুলো বালি ও ময়লা পরিষ্কার করতে ভালো ভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর পেস্টটি ভালো ভাবে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন যাতে ত্বক সতেজ ও কোমল থাকে।
উপকারিতা
ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে এটি প্রদাহ কমায়, ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং নতুন পিম্পল তৈরি হওয়া অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
২য় প্যাক : মুলতানি মাটি ও হলুদ প্যাক
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
- ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- গোলাপ জল
প্রস্তুত প্রণালী
সব উপকরণ একত্রে নিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে এমন ভাবে পেস্ট তৈরি করুন যাতে কোনো দানা বা খস খসে অংশ না থাকে।
ব্যবহার পদ্ধতি
মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে নিন, এরপর প্যাকটি ভালো ভাবে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর যখন এটি শুকিয়ে যাবে, তখন হালকা কুসুম গরম জল দিয়ে আস্তে আস্তে ধুয়ে ফেলুন যেন ত্বকের কোমলতা বজায় থাকে।
উপকারিতা
ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এটি মুখকে ম্লান ও ভার মুক্ত রাখে, দাগ গুলো আস্তে আস্তে হালকা করে এবং ব্রণ শুকিয়ে ত্বককে মসৃণ রাখে।
তৈলাক্ত ত্বকের প্রতিদিনের যত্নের উপায়
- দিনে ৩ বার মুখ ধোওয়া
- অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ ব্যবহার
- অ্যালকোহল-মুক্ত টোনার ব্যবহার
- অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার
- প্রচুর পানি পান
পিম্পল কমানোর ঘরোয়া টিপস
বরফ সেঁক
একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ মুড়ে পিম্পলের ওপর ২-৩ মিনিট ধরে হালকা ভাবে ঘষুন। এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে এবং ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা গাছ থেকে তাজা জেল বের করে তা সরাসরি পিম্পলের ওপর লাগালে ত্বকের প্রদাহ কমে এবং পিম্পল দ্রুত শুকিয়ে যায়।
সতর্কতা এবং পরামর্শ
- মুখে বারবার হাত দেবেন না
- বাজারের কেমিক্যাল প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন
- পর্যাপ্ত ঘুম আর হেলদি ডায়েট মেনে চলুন
উপসংহার
বাড়িতে থাকা সহজ উপকরণ যেমন তুলসী-নিম আর মুলতানি-হলুদ প্যাক তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এ গুলি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক হবে ফুর ফুরে, তেল মুক্ত, এবং ব্রণ সহ সমস্ত ত্বক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবে।
FAQs
১. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সাবান ভালো?
অয়েল-ফ্রি, অ্যালকোহল-মুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত।
২. দিনে কতবার মুখ ধোয়া উচিত?
দিনে ২-৩ বার মুখ ধোয়া যথেষ্ট।
৩. পিম্পলের দাগ কীভাবে তুলবেন?
লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে লাগালে দাগ হালকা হয়।
৪. মুলতানি মাটি কি রোজ ব্যবহার করা যায়?
না, সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করা উচিত।
৫. ঘরোয়া প্যাক ব্যবহারে কত দিনে ফল পাবো?
সাধারণত ৭-১০ দিনেই পার্থক্য বোঝা যায়।
সুস্থ্য থাকুন নিজের ত্বকের যত্ন নিন।
বিঃদ্রঃ– উপরের তথ্যগুলো (তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই 2 টি দারুণ ঘরোয়া ফেসপ্যাক | ত্বক হবে একদম ঝকঝকে!) কেবলমাত্র ত্বক কে ভালো রাখার উদ্দেশ্য। rupcharcha.in শুধুমাত্র বিভিন্ন ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার এর খবর ইত্যাদি বিষয়ে আপডেট দেওয়ার জন্যই তৈরি করা। এটা কোন সংস্থা নয় এবং পরিচালনা করে না। এটা সমগ্র ইন্টারনেট জুড়ে খবর সংগ্রহ করে প্রকাশিত করে। rupcharcha.in সর্বদা চেষ্টা করে নির্ভুল আপডেট প্রকাশ করার তবুও আমাদের অবচেতন মনে যদি কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে ভুলের জন্য আমরা দায়ী নই।
পাঠকদের অনুরোধ করা হচ্ছে আপনারা অতি অবশ্যই নোটিফিকেশন নিজে থেকে ভালো করে যাচাই করবেন, দেখবেন, বুঝবেন তবেই নিজের দায়িত্ব করবেন।
বিঃদ্রঃ: এই আর্টিকেলের (3 Free Ways to take care of Oily Skin in 2025) প্রোডাক্ট লিঙ্ক গুলি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক হতে পারে। আপনার প্রয়োজনে প্রোডাক্ট নির্বাচনে সতর্ক হোন।
গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলি (Important Links)
Rupcharcha Medium Website | Click Here |
Rupcharcha Twitter Page | Click Here |
Rupcharcha Facebook Page | Click Here |
Rupcharcha LiveJournal Page | Click Here |
Rupcharcha Quora Page | Click Here |
Rupcharcha Pinterest Page | Click Here |
Rupcharcha Reddit Page | Click Here |